স্মার্ট সব গ্যাজেটের কারণে আমাদের জীবন হয়ে উঠছে আরও সহজ। লেটেস্ট টেকনোলজির সহায়তায় নির্মিত পণ্যগুলোর মধ্যে এমন কিছু অত্যাশ্চর্য জিনিসও আছে, যেগুলো সম্পর্কে খুব কম লোকই জানেন।
তবে স্মার্ট জ্যাকেটের কথা কয়জন জানেন? বিশ্বের জনপ্রিয় টেক জায়ান্ট গুগল বেশ কয়েক বছর আগেই বাজারে এনেছে স্মার্ট এক জ্যাকেট। জনপ্রিয় ব্র্যান্ড লিভাইসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অভূতপূর্ব জ্যাকেট তৈরি করেছে গুগল। সংস্থাটি জ্যাকুয়ার্ড ব্র্যান্ডিংয়ের অধীনে প্রোডাক্টটি বিক্রি করেছিল। জ্যাকেটিতে গান শোনা, সেলফি তোলা এমনকি ব্লুটুথ কলিংয়ের সুবিধাও দেয়া হয়েছিল।
২০১৯ সালে প্রথম এটিকে বাজারে এনেছিল গুগল। যেটি তৈরির পরিকল্পনা কিন্তু ২০১৭ সাল থেকেই শুরু হয়। আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ আর দশটা ব্র্যান্ডের জ্যাকেটের সঙ্গে এর তেমন কোনো অমিল পাবেন না। তবে সাধারণ কোনো জ্যাকেটের সঙ্গে এর তুলনাও করতে পারবেন না। মূল কারণ হলো, জ্যাকেটটিতে একগুচ্ছ অসাধারণ ফিচার দেয়া হয়েছে।
স্মার্ট জ্যাকেটটিতে কোম্পানি একটি ব্লুটুথ এনাবেলড ‘ট্যাগ’ দিয়েছে। যেটি জ্যাকেটের বাঁ হাতায় আটকানো। আকারে খুবই ছোট ট্যাগটি টাচপ্যাডের মতো কাজ করে, যার সাহায্যে মিউজিক কন্ট্রোল করার পাশাপাশি বিভিন্ন অ্যাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। এ ছাড়া কোনো নোটিফিকেশন এলে ট্যাগটি ভাইব্রেট করবে।
জ্যাকেটটিকে ব্যবহার করার জন্য ব্যবহারকারীদের ফোনে ‘জ্যাকুয়ার্ড’ অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল রাখতে হবে। অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের প্রতিটি অঙ্গভঙ্গি বুঝে নিয়ে জ্যাকেটটি তাদের নির্দেশনা মাফিক কাজ করতে পারবে। এ ছাড়া ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী জ্যাকেটটিকে প্রোগ্রাম করতে পারবেন। এমনকি নিজেদের প্রতিটি অঙ্গভঙ্গিতে বিভিন্ন ফাংশন ডিকোডও করে রাখতে পারবেন।
জ্যাকেটটির সাহায্যে ব্যবহারকারীরা মিউজিক প্লে এবং পজ করতে পারবেন। নেক্সট, প্রিভিয়াস, অ্যাওয়্যার মোডের মতো ফিচার পাওয়া যাবে জ্যাকেটটিতে। এতে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টসহ বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্ট, সেলফি ক্লিক, লাইট, নেভিগেশন ফিচারও আছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত জ্যাকেটটিকে কোনোমতেই পানি দিয়ে ধোয়া যাবে না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।